যারা বিসিএস প্রস্তুতি নিবেন বলে ভাবছেন, তাদের সবার আগে বিসিএস পরীক্ষার সিলেবাসটা ভালোমতো জানা ও বোঝা জরুরি। সাধারণত বিসিএস পরীক্ষা ৩ টি ধাপে হয়।
বিশেষ বিসিএসগুলোতে সাধারণত উপরে উল্লিখিত পরীক্ষার সিস্টেমে কিছুটা পরিবর্তন দেখা যায়। প্রিলি ও রিটেনের বদলে পুরো একটা এমসিকিউ এক্সাম হয়। এরপর সে পরীক্ষার নির্বাচিতদের নিয়ে ভাইভা অনুষ্ঠিত হয়। যেমন: স্বাস্থ্য ক্যাডারের স্পেশাল বিসিএস (৩৯তম বিসিএস ও ৪২তম বিসিএস)।
বিসিএস পরীক্ষা সফলভাবে উত্তীর্ণ হবার জন্য বিসিএস সিলেবাস ভালোভাবে জেনেবুঝে তারপর প্রস্তুতি শুরু করা উচিৎ। যেমন, প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বা সংক্ষেপে প্রিলি পরীক্ষা বিসিএস-এর মূল পরীক্ষায় কোন প্রভাব ফেলে না। কোন মতে কাটমার্কস উৎরে টিকলেই হয় এই পরীক্ষায়। কারণ এই পরীক্ষার নম্বর লিখিত বা ভাইভাতে কোন কাজে আসে না। এই পরীক্ষায় শুধু প্রার্থীর সংখ্যা কমানো হয়।
বিসিএস ক্যাডার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে মূলত লিখিত ও ভাইভায় প্রাপ্ত নম্বর গণনা করা হয়। তবে প্রিলি পাশ না করলে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়া যায় না। আবার লিখিত ছাড়া ভাইভায় ডাক আসে না!
আরও পড়ুন - বিসিএস প্রিলিমিনারি বই তালিকা (ক্লিক করুন)
লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার বিসিএস সিলেবাস (Written and Viva BCS Syllabus)
বিসিএস লিখিত পরীক্ষার বিষয়সমূহ ও নম্বর বণ্টন : মোট নম্বর ৯ ০০
লিখিত পরীক্ষায় সাধারণ ও প্রফেশনাল ক্যাডারের জন্য ভিন্ন সিলেবাস থাকে। প্রফেশনাল বা টেকনিক্যাল ক্যাডারে; যেমনঃ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার পদ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ২০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হয়। কেউ ডাক্তার হতে চাইলে ডাক্তারি অতিরিক্ত ২০০ নম্বরের পরীক্ষা দিবেন।
(১) সাধারণ ক্যাডারের জন্য:
১। বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র (১০০+১০০)= ২০০ নম্বর
২। ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র (১০০+১০০)= ২০০ নম্বর
৩। বাংলাদেশ বিষয়াবলি= ২০০ নম্বর
৪। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি= ১০০ নম্বর
৫। গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা (৫০ + ৫০) = ১০০ নম্বর
৬। সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি = ১০০ নম্বর
(২) প্রফেশনাল বা টেকনিক্যাল ক্যাডারের জন্য:
১। বাংলা প্রথম পত্র= ১০০ নম্বর
২। ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র (১০০+১০০)= ২০০ নম্বর
৩। বাংলাদেশ বিষয়াবলি= ২০০ নম্বর
৪। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ১০০ নম্বর
৫। গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা (৫০+৫০)= ১০০ নম্বর
৬। স্নাতকে পঠিত বিষয়= ২০০ নম্বর
প্রতিটি ২০০ নম্বরের পরীক্ষার
সময় ৪ ঘণ্টা।
প্রতিটি ১০০ নম্বরের পরীক্ষার সময় ৩ ঘণ্টা।
লিখিত পরীক্ষায় গড় পাস মার্ক ৫০%। অর্থাৎ ৯০০ নম্বরের মধ্যে সব বিষয় মিলিয়ে ৪৫০ নম্বর পেলেই আপনি ভাইভার জন্য নির্বাচিত হবেন।
তবে কোন প্রার্থী চাইলে একই সাথে সাধারণ এবং প্রফেশনাল ক্যাডারে আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার সময় সাধারণ ক্যাডারের বিসিএস সিলেবাস অনুযায়ী ৯০০ নম্বরের সাথে প্রফেশনাল ক্যাডারের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ২০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে। অর্থাৎ তখন ঐ প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষায় মোট ১১০০ নম্বরের পরীক্ষা দিবেন। উভয় ক্যাডারে পাশ করতে হলে ১১০০ নম্বরের ৫০% মানে ৫৫০ পেতে হবে।
লিখিত পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে হলে গ্রাফ, চার্ট, তথ্য, তথ্যসূত্র, টেবিল, বিভিন্ন সূচক ইত্যাদি নোট করে করে পড়তে হবে।
Article Comments